সিনিয়র বউ
#সিনিয়র_বউ
#পর্ব:-(০2)
#লেখা_সৌরভ_আহমেদ
!!
আজ নাকি আমার বাসর রাত ছিল? আর প্রথম দিনে বউ আমার রুমে নেই। আল্লাহ যানে কেমন মেয়ের সাথে আমার বাবা মা আমাকে বিয়ে দিয়েছে। যাই একটু ফ্রেশ হয়ে বাহিরে যাই! একটু পরে রুম থেকে বের হয়ে বাহিরের দিকে যাইতেছি তখনি,,
মা:- কিরে তুই আজ এত তাড়া তাড়ি সেজে গুজে কোথায় যেতেছিস? নাকি শ্বশুড় বাড়ি যাওয়ার জন্য মন ছট ফট শুরু করছে?
আমি:- আম্মা তুমিওনা। কোথায় আবার যাবো? একটু খানি বাহির থেকে ঘুরে আসি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে আসি!
মা:- আজকের দিনে বাহিরে না গেলে হইনা বুঝি। একটু পরে সাবিহাদের বাড়ি থেকে তোদের নিতে আসবে।
আমি:- ওদের বাড়িতে আমি যাবো কেনো) আর তাছাড়া গত কাল আসছে আজকেই যেতে হবে তাহলে আমাদের বাড়িতে আসতে কে বলছে।
মা:- তুই কি রে? কেও এমন করে কথা বলে?
আমি:- হ্যা এমন করে কথা বলতে হয়। এখন বলো কেনো যাবো ঐ মেয়েটার বাড়িতে?
মা:- সাবিহা এখন তোর বউ ওকে মেয়ে টেয়ে বলিস কেনো?
আমি:- এত জ্ঞান না দিয়ে সোজা সুজি করে বল কি করতে হবে?
আম্মু:- এখন তুই সাবিহার সাথে আজ ওদের বাড়িতে যাবি। আর এইটাই নিয়ম বিয়ের পর মেয়েরা স্বামির সাথে স্বামির বাড়িতে চলে আসে। আর সাড়াটা জীবন ওরা স্বামির বাড়ীতে কাটিয়ে দেই। আর বিয়ের পরের দিন ছেলেদের শ্বশুড় বাড়িতে যেতে হয়। যা এত কথা না বলে তুই কোথায় যেতেছিস সেখানে যা। তবে তাড়া তাড়ি চলে আসবি! আর তানা হলে তোর আব্বু যদি জানতে পারে। তুই এখন বের হয়ছিস তাহলে আবার আমার সাথে রাগ রাগি করবে।
আমি:- এত নিয়ম টিয়ম আমি মানতে পারবোনা। একে তো সিনিয়র বউ তাও আবার কালো। তোমরা সবাই মিলে আমার জীবনটাকে বরবাদ করে দিয়েছো। বলে যেতে লাগলাম, তখনি মহারানি একটা লম্বা ঘোমটা দিয়ে দাড়িয়ে আছে আমার সামনে। আর বলছে,,
সাবিহা:- আমার একটা কথা ছিলো, যদি অনুমতি দিতেন তাহলে বলতাম।
আমি:- আপনাকে না বারণ করেছি আমাকে আপনি করে বলতে? আপনি আমার থেকে বড় তাই তুমি করে বলবেন? আর এত বড় ঘোমটা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো?
সাবিহা:- স্বামী ছোট হোক আর বড় তাকে আপনি করে বলা ভালো! আর ঘোমটা দিয়ে রাখছি কারণ আপনি তো ঘোমটা উঠাতে বলেননি!
আমি:- হয়ছে এখন এত কথা না বলে সোজা করে আপনি কি বলতে চান এইটা একটু তাড়া তাড়ি বলেন।
সাবিহা:- বলছি কি আজ তো আমরা দুজনে আমাদের বাড়িতে যাবো।
আমি:- এর জন্য কি আমি নাছবো?
সাবিহা:- মন চাইলে নাছতে পারেন। তাহলে সবাই ফ্রিতে আপনার নাছ দেখতে পারবে।
আমি:- এই তোমার কি কোনো কাজ নেই। সরি মানে আপনার কি কোন কাজ নেই নাকি? আমি একটু বন্ধুদের সাথে দেখা করতে যাবো, সরেন সামনে থেকে।
সাবিহা:- তুমি করে বলেন শুনতে খুব ভালো লাগছে।
আমি:- আপনি আমার কত দিনের বড় মনে আছে তো? আর আপনাকে আমি তুমি করে বললে নিজের কাছে কেমন লজ্জা লজ্জা লাগে। এখন বলেন কি কথা বলবেন আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।
সাবিহা:- তাহলে যান। আমি কি আপনাকে ধরে রাখছি নাকি? নাকি জড়িয়ে রাখছি। যে যেতে পারছেন না?
আমি:- এই এই আপনি আমাকে তুমি করে বলবেন। আমি সবে মাত্র ইন্টার পাশ করে অনার্সে ভর্তি হয়েছি। আর শোনেছি আপনি এবার তৃতীয় বর্ষে পড়েন। আব্বার কারণে আমার জীবনটা শেষ হয়ে গেছে।
সাবিহা:- তাতে কি আপনি হলেন আমার স্বামি আর মেয়েদের ওচিত স্বামিকে তুমি থুক্কু আপনি করে বলা।
আমি:- আপনি কি সাড়াদিন এই ঘোমটা দিয়ে থাকেন নাকি?
সাবিহা:- স্বামি আমার আপনি তো আমাকে বলেননি ঘোমটা ওঠাতে। তাই তো আমি ঘোমটা দিয়ে রাখছি।
আমি:- আপনার যা খুশি করেন। বলে আমি বের হয়ে এলাম। যখনি বাড়ীর বাহিরের গেইটে আসলাম, তখনি,,
এই সৌরভ কোথায় যাচ্ছিস।
আমি:- পেছনে তাকিয়ে দেখি, আমার এক নাম্বার শুত্রুটা আমাকে ডাকছে মানে আমার আব্বা।
বাবা:- কিরে এখন কোথায় যেতিছিস? একটু পর বউমার বাড়ি থেকে তোদের নিতে আসবে। আর তুই এখন কোথায় যাচ্ছিস?
আমি:- কোথাও না। একটু বাড়িটা ঘুরে ফিরে দেখছি।
বাবা:- কেনো এর আগে কি বাড়িটা দেখিসনি। আয় আমার সাথে আয়।
আমি:- হ্যা চলেন। আব্বার সাথে আবার বাসার ভিতরে ফিরে আসতে হলো। সব দোষ ঐ সিনিয়র বউটার ওর জন্য আমার দেরি হলো আর শুত্রুটার সামনে এসে পড়লাম। ওর সাথে কথা বলে আমার সময়টা নষ্ট হলো। কয়টা দিন কষ্ট করে পার করি তারপর সিনিয়র বউ তোমাকে এমন মজা দেখাবো। আর তুমি নিজে আমাকে বলবে যে আমাকে তোমার জীবনে দরকার নেই।
বাবা:- সৌরভ বাবা শোন! বিয়ে হলো আল্লাহর হাতে কার সাথে কার ভাগ্য আছে এইটা আমরা কেউ বলতে পারবোনা। আর সাবিহা মেয়েটা মনে হয় ভালোই হবে। আমাকে কত খারপ সময়ে ওর বাবা সাহায্য করেছে। যা হবার তা হয়ে গেছে এখন তুই এই সাবিহার সাথে ঠিক মত সংসার কর। তাহলে আমরা সবাই অনেক খুশি হবো।
আমি:- ঠিক আছে আমি রুমে যাই। বলে রুমের দিকে চলে আসতেছি আর এই কথা গুলো ভাবছি,(তাই বলে এত বড় মেয়ের সাথে সাড়া জীবন সংসার করতে হবে এইটা আমার দ্বাড়া সম্ভব নই মনে মনে ভাবছি কথা গুলো) রুমে এসে দেখি সাবিহা তার ব্যাগটা গুচাচ্ছে। আমাকে দেখে ঘোমটাটা বড় করে দিয়েছে।
সাবিহা:- আপনি এসে গেছেন এত তাড়াতাড়ি?
আমি:- ইচ্ছে করে আসিনি। আব্বা ধরে নিয়ে এসেছে আর আমার বাড়িতে আমি কখন আসবো কখন কোথায় যাবো সেই কইফত কি আপনাকে দিতে হবে? আর শুনেন।
সাবিহা:- কান গুলো খোলা আছে আপনি বলতে থাকেন আমি শুনতেছি।
আমি:- এই জন্য আব্বাকে বলছি এই সিনিয়র মেয়েকে বিয়ে করবোনা। কিন্তু কি হলো কপালে এইটা জুটলো। আমি আগে জানতাম এই মেয়ে আমার কোনো কথা শুনবেনা।
সাবিহা:- কোথায় আমি আপনার কথা শুনছিনা। আমি তো বলছি আমার কান খোলা আছে আপনি বলতে থাকেন আমি শুনছি।
আমি:- হ্যা বলছি, এমনিতে আপনার মুখটা না দেখাই ভালো। আর শুনেন আমার পার্সনাল ব্যাপারে কোনো কথা বলবেন না। আমি কোথায় যাই কি করি, কার সাথে কথা বলি, এইসব কিছুর ব্যাপারে কোনো দিন কথা বলবেন না। অন্তত আমি আপনার কাছে এইটুকু ভদ্রতা তো আশা করতে পারি। তাই নই কি মিস সিনিয়র বউ?
সাবিহা:- ঠিক আছে আমি আপনার পার্সনাল ব্যাপারে কোনো কথা বলবোনা। তবে আপনি আমার পার্সনাল ব্যপারে কোনো কিছু বলবেন না। আমি কার সাথে কথা বলি কই যাই কি করি, এইসব কিছুর ব্যপারে। আর আমাকে তুমি করে বলবেন। কারন সবাই মনে করবে আমরা সংসার জীবনে সূখী নই। যত দিন আমরা এক সাথে থাকি অন্তত তত দিন তুমি করে বলি। যদি রাজি থাকেন তাহলে বলেন।
আমি:- ঠিক আছে রাজি আছি, তবে আপনিও তখনি,,
সাবিহা:- আবার আপনি তবেরে বলে কাছে এসে আমার মুখের মধ্যে হাত দিয়ে চেপে ধরছে। আর বলছে এবাবের মত ক্ষমা করে দিলাম। আর যদি আপনি করে বলো তাহলে খবর করে ছেরে দেবো।
আমি:- এই কি করছো তুমি? এই ছোট শিশুটার উপড় নির্যাতন করছো কেনো? আর তুমি এই ঘোমটাটা কি সাড়া দিন দিয়ে রাখো নাকি? তখনি
মা:- বউমা বউমা দেখো তোমার বাড়ি থেকে কারা কারা এসেছে।
সাবিহা:- হ্যা আসছি মা, যখনি যেতে লাগলো তখনি আমার হাতের ঘড়ির সাথে ওর শাড়ির আচলটা আটকে গেছে আর ওর ঘোমটা পড়ে গেছে। কিন্তু চেহেরাটা দেখা যাচ্ছেনা। তবে চুল গুলো অনেক বড় বড় আমি হাত দিয়ে ওর চুল গুলো ধরতে যাবো আর তখনি এক টানে আচলটা ছারিয়ে নিয়ে চলে গেলো।
আমি:- আরে সাবিহার গায়ের রংটা তো ফর্সা কিন্তু ভাবি যে বলছে কালো। ভাবি আমার সাথে মিথ্যা কথা বলছে! আমি রুমে বসে আছি তখনি চাচিমা এসেছে!
চাচিমা:- সৌরভ কি করছো?
আমি:- কিছুনা! বলেন কি বলবেন?
চাচিমা:- তোমার বউয়ের সাথে কি তুমি সংসার করবে? দেখো সৌরভ এখনো তোমার বিয়ের কথা কেউ যানেনা! কিন্তু যখন সবাই যেনে যাবে তখন কি করবে?
আমি:- সবাই যেনো জানতে না পারে সেই ব্যবস্থা করেছি! সারা রাত টর্চার করেছি! আমার টর্চার সহ্য করে মনে হয়না এই বাড়িতে থাকতে পারবে!
চাচিমা:- তাহলে কি আমার বোনের মেয়েকে তোমার জন্য ঠিক করে রেখে দিবো?
আমি:- রিতাকে? রিতা অনেক মর্ডান এই মেয়ে আমার সাথে একেবারে বেমানান।
চাচিমা:- রিতা অনেক পাল্টে গেছে! তোমার সাথে এখন একদম পার্ফেক্ট মানাবে! তখনি মা রুমে এসেছে! মাকে দেখে চাচিমা চলে গেছে!
মা:- সৌরভ তোর চাচিমার কথা শুনে কোনো ভুল করোনা আমি বলে দিলাম! রেডি হয়ে নাও সাবিহার বাবা এসেছে তোদের নিয়ে যেতে।
আমি:- হ্যা রেডি হচ্ছি! রেডি হয়ে নিচে গেলাম! গিয়ে দেখি একটা মেয়ে রিমির সাথে দুষ্টমি করছে! আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি! অনেক সুন্দর মেয়েটা নিশ্চয়ই সাবিহাকে নিতে আসছে! কাছে যেতেই দেখি ঘোমটা দিতেছে! আরে আমাকে দেখে ঘোমটা দিচ্ছেন কেনো?
ঘোমটা দিবোনা তো কি করবো তুমি তো আমার চেহারা দেখতে চাওনি? (কন্ঠ শুনে তো আমি থমকে গেছি) এই তুমি সাবিহা কিন্তু তুমি তো কালো এত ফর্সা হলে কি করে? তখনি সাবিহা ঘোমটাটা শরিয়েছে আমি দেখে ফিদা হয়ে গেছি! সত্যি আমি অনেক বড় ভাগ্যবান!
সাবিহা:- কি হলো আমি কালো এই কথা কে বলছে তোমাকে? তখনি ভাবি, বাবা মা আর সাবিহার বাবা এসেছে!
সাবিহার বাবা:- সৌরভ বাবা তুমি রেডি হয়েছো?
আমি:- হ্যা রেডি! সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে রওনা হলাম! গাড়িতে সাবিহা আমার পাশে বসে আছে! আমি ইচ্ছে করে ঘুমের বান করে হেলনা দিয়ে রাখছি! সাবিহার মোবাইলে বার বার ফোন আসছে সাবিহা ফোনটা কেটে দিচ্ছে! গাড়িটা থামছে তখনি সাবিহা বলে।
সাবিহা:- আমরা চলে এসেছি নামুন! আমি নেমেছি সাবিহা নামছে! সাবিহার সাথে আমি ভিতরে গেলাম! সাবিহাদের বাড়িটা অনেক বড় আর ভিতরে অনেক সুন্দর দেখতে! আমি চোখ ভুলিয়ে নিলাম সারাটা বাড়ি!
শ্বাশুরী:- বাবা সৌরভ কেমন আছো তোমার বাবা মা বাড়ির সবাই কেমন আছে?
আমি:- জ্বি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছেন সবাই!
শ্বাশুরী:- মা সাবিহা বাবাজ্বিকে রুমে নিয়ে যা!
সাবিহা:- এসো আমার সাথে! সাবিহা আমার হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে ভালোই লাগছে আমার কাছে! একটা রুমে নিয়ে এসেছে! রুমে ঢুকে আমি তো অবাক এত সুন্দর রুম হতে পারে! সাবিহার বড় করে একটা ছবি টানানো! তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও আমি কফি নিয়ে আসছি! সাবিহা ওর মোবাইলটা রেখে চলে গেছে! আমি ফ্রেশ হতে যাবো তখনি চেয়ে দেখি সাবিহার মোবাইলে রাজ আর একটা লাভ রিয়াক্ট দেওয়া চিহ্ন! আমি রিসিভ করবো কি করবোনা ভাবতে ভাবতে রিসিভ করেছি!
আমি:- হ্যালো কে বলছেন? তখনি ছো মেরে আমার কাছ থেকে সাবিহা মোবাইলটা নিয়ে গেছে!
সাবিহা:- কারো পার্সনাল জিনেসে হাত দেওয়া বা ধরা ঠিক নই! আর তাছাড়া তুমি নিজেই বলেছো পার্সনাল ব্যপারে নাক না গলাতে! এইটা আমার পার্সনাল জিনিস!
আমি:- ঠিক আছে সরি ভুল হয়ে গেছে! আমি ফ্রেশ হতে চলে গেছি! কিছুক্ষণ বের হয়েছি দেখি সাবিহা ফোনে কথা বলছে! আমি কিছু বলিনি সাবিহা কথা বলছে! সাবিহা তাহলে বিয়ের আগে কাওকে ভালোবাসছে! যাক তাহলে আমার জন্য ভালোই হয়ছে! নিজে থেকে চলে যাবে আমার জীবন থেকে! আমি বসেই আছি তখনি সাবিহার কথা শেষ করে আমাকে বলে।
সাবিহা:- সৌরভ চলো খাবার খেতে যাবে! আমি কিছু বলিনি সাবিহা আমার সাথে সাথে নিচে এসেছে! সবাই মিলে খানা খেলাম! সাবিহাদের পরিবারে কোনো ঝামেলা নেই! সাবিহা ওনাদের এক মাত্র মেয়ে! খাবার শেষ করে রুমে চলে এসেছি! আমি মোবাইলে ফেসবুকিং করছি এমনি সাবিহা এসেছে!
আমি:- আচ্ছা তোমাদের ছাদে যাওয়ার সিঁড়ি কোন দিকে?
সাবিহা:- কেনো?
আমি:- দরকার আছে!
সাবিহা:- ঐ দিকে! গিয়ে বামে সিঁড়ি আছে!
আমি:- ধন্যবাদ! রুম থেকে বেরুবো তখনি সাবিহা বলে!
সাবিহা:- সৌরভ তুমি জানতে চায়লেনা আমি কার সাথে ফোনে কথা বলছিলাম? আর রাজ কে?
আমি:- কারো পার্সনাল ব্যপারে জানার আমার কোনো আগ্রহো নেই! আর তাছাড়া আজ বাদে কাল তো আমরা আলাদা হয়ে যাবো! এত কিছু যেনে কি হবে?
সাবিহা:- আলাদা হয়ে যাবো মানে?
আমি:- হ্যা যা শুনছো তাই! তুমি রাজের সাথে কথা বলতে থাকো কথাটা বলে আমি বাহিরে চলে এসেছি।
!!
চলবে,,,
#3_নং_পর্ব_পরতে_নিচের_লিংক_এ_ক্লিক_করুন 👇👇👇
https://www.facebook.com/MeghBinduu
!!
No comments