দুষ্টু ছেলে & ঝগড়াটে মেয়ে

 



লোকাল বাসের মধ্যে বসে সিগারেট খাচ্ছি। হঠাৎ একটা সুন্দরী মেয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললো how smart😍
আমি-- মানে! আমাকে বলছেন?
মেয়েটি--হুম! আপনার হোকা টানার স্টাইল তো সেই।
আমি-- what the হোকা?
মেয়েটি-- it is চোকা, যারা খায় ছেঁকা তারা টানে হোকা😂
আমি-- কি বলতে চাচ্ছেন আপানি?
মেয়েটি-- আমি বলতে চাইছি এটা একটা পাবলিক বাস। এখানে যে হোকা (সিগারেট) টানা নিষেধ তা জানেন না।
আমি-- আফারে কি কইবো আর আমার দুঃখের কথা সিগারেট মানে আপনার ভাষা হোকা কি সাধে টানি😒 মনের দুঃখ কষ্টের নিবারনের জন্যই তো টানি।
মেয়েটি-- তা ছেঁকা টা কি একটু বেশিই খেয়ে ফেলছেন নাকি?
আমি-- ওই ছেরি আমি ছেঁকা খাইতে যাবো কোন দুঃখে?
মেয়েটি-- কি বললেন আমায়😠😡 আপনি তো মানুষটা ভারি বেয়াদব।
আমি-- আফা গো আফা মাইন্ড করেন কেনো। বললাম না আমার মনে অনেক দুঃখ তাই কি বলতে কি বলে ফেলেছি😒 কিছু মনে করবেন না।
মেয়েটি-- হুম বুঝলাম! তা আপনার মনে এত কিসের কষ্ট বলা যাবে।
আমি-- আর কয়েন না গো আফা। এই অবুঝ শিশু দুধের বাচ্চা কে আমার আম্মু জোর করেই বিয়ে দিতে চায়। তাই মনে অনেক দুঃখ😢(অভিমানী কন্ঠে)
মেয়েটি-- তা সেই দুধের বাচ্চা টা কে?
আমি-- কেনো আমাকে কি আপনার চোখে পড়ে না। কে আবার হবে আমি নিজেই☺
মেয়েটি-- হা হা হা😂 হাসাইলেন মিয়া। আপনি দুধের বাচ্চা হা হা হা। আজ বিয়ে দিলে কাল ডজন খানেক দুধের বাচ্চা পয়দা করবে আর ইনি নাকি দুধের বাচ্চা ভাবা যায়😂
আমি-- ধুর ছেমরি তুই আসলেই বেশি কথা কোস।
মেয়েটি-- ওই ছেমরা তুই আবার আমাকে ছেমরি বললি😡
আমি-- আফা রে খেপেন কেনো। আমি বললাম না আমার মনে অনেক দুঃখ তাই কি বলতে কি বলে ফেলেছি মাথায় আসছে না। সরি😒
মেয়েটি-- হুম ঠিক আছে,,, ঠিক আছে এখন সরে বসেন আমি বসবো।
আমি-- ওহহহ মা গো,, একটুখানি ভালো করে কথা বলছি দেখে এখন আমার পাশে বসবেন তাই না। জানেন আমি না এমনি,, মেয়েরা আমাকে দেখলেই পটাতে শুরু করে দেন। how smart me তাই না😍(ভাব নিয়ে কথা টা বললাম,, ইংরেজি টা ঠিক বলছি কি না সন্দেহ😂)
মেয়েটি-- জ্বি না মি. এটা আমার সিট। আপনি আমার সিটে বসে আছেন। এই যে দেখুন টিকিট। সো এখন সরে বসেন।
আমি-- নো প্রবলেম,,, নো প্রবলেম আসেন বসেন (ভাব টা মনে হয় বেশিই নিতে গেছিলাম)
মেয়েটি বসার পড়ে
মেয়েটি-- আচ্ছা আপনি এই হোকা টা কবে থেকে টানেন?
আমি-- ২৪ বছর,,,,,,,
মেয়েটি-- (অবাক হয়ে) কিহ? আপনার বয়স কয় বছর।
আমি-- ২৪ বছর। কেনো?
মেয়েটি-- তার মানে আপনি জন্মের পড়ে মায়ের পেট থেকে বের হবার পর থেকেই হোকা টানেন😂
আমি-- আরে আমার কথা টা তো আগে শেষ করতে দেবেন নাকি।
মেয়েটি-- হুম বলেন😂(হাসতে হাসতে)
আমি-- মানে হলো আমার জন্মের ২৩বছর ১১মাস ২৯ দিন পড়ে থেকে আমি সিগারেট মানে আপনার ভাষায় হোকা টানি।
মেয়েটি-- তার মানে আপনি আজকেই প্রথম খাইলেন।
আমি-- হুম। ওই যে বল্লাম না আমার অনেক দুঃখ এই দুধের বাচ্চা কে আমার আম্মু জোর করেই বিয়ে দিতে চায়। তাই দুঃখ নিবারনের জন্য আমিও হোকার সাদ টা নিয়ে নিলাম।
মেয়েটি-- হায়রে দুধের বাচ্চা রে। ২৪ বছরের বুইরা নাকি দুধের বাচ্চা😂😂 একটা কথা বলি।
আমি-- হুম
মেয়েটি-- আপনি না অনেক দুষ্টু
আমি-- একি আপনি আমার নিক নেম জানলেন কি করে?😲
মেয়েটি-- মানে?
আমি-- মানে হচ্ছে দুষ্টু আমার নিক নাম😂 সকলে আমাকে দুষ্টু বলেই ডাকল🙈
মেয়েটি-- 😒😒
মেয়েটার সাথে কথা বলতে বলতে আমার গন্তব্য স্থানে চলে আসলাম। প্রায় ২ ঘন্টা এক সাথে বসে গল্প করলাম। আর মেয়েটির সাথে আমি দুষ্টুমি করলাম। শুধু যে আমি এই মেয়ে টার সাথেই দুষ্টুমি করলাম তা কিন্তু নয়। আসলে আমি সবার সাথেই একটু দুষ্টুমি করি। বাস টা থেমে গেলো,,,,
আমি-- তাহলে আপনি থাকেন আমি যাই।
মেয়েটি-- কোই যাবেন?
আমি-- আরে আমার গ্রামে পৌঁছে গেছি, বাড়িতে যাবো নাহ।
মেয়েটি-- ওহ তাহলে বাই।
আমি বাসের দরজার সামনে এসে)(-- একটা কথা বলবো?
মেয়েটি-- জ্বি বলেন (আবেগি কন্ঠে)
আমি-- আপনি না (আপনি বলাতেই মেয়েটার চোখ মুখ হাস্যজ্বল হয়ে গেলো। মনে করলো তাকে ভালো কোনো পদবি দেবো,, কিন্তু আমি😂)
মেয়ে-- জ্বি আমি কি?😍
আমি-- আপনি না খুবই একটা বাচাল টাইপের একটা মেয়ে। বলেই দিলাম দৌড়😂 মেয়েটা দেখলাম পিছনে থেকে বলছে।
মেয়েটি--ওই আমি বাচাল না😠 তুই বাচাল তোর বাপে বাচাল, তোর চোদ্দ গুষ্টি শুদ্ধ বাচাল। হারামজাদা।
কে শোনে কার কথা আমি দৌড়ে বাড়িতে চলে আসলাম। কিন্তু একটা জিনিস এর জন্য খুব আফসোস হচ্ছে। এত সুন্দর একটা মেয়ের সাথে এতটা পথ পারি দিয়ে আসলাম আর মেয়েটার নাম ঠিকানা কিছুই জানা হলো না😒 বাড়িতে এসেই,,,,
আম্মু-- কি রে বাবা আইসা পরেছিস। গুড বয়। শোন কালকেই কিন্তু তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাবো।
আমি-- আম্মু আমি সবে আসলাম কোথায় খাইতে দেবে তানা করে আমার বিয়ে নিয়ে পরলে কেনো।
আম্মু-- খাইতে দেবো মানে। আগে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয় তারপর খাবি।
আমি-- না আগে খাবো তারপর রুমে যাবো আমার অনেক দুঃখ। তাই দুঃখের কারণে খুদা লেগে গেছে😒
আম্মু-- কি কোস তুই? আমি আগে জানতাম দুঃখের কারণে মানুষ খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়, আর তোর খুদা লাগছে😱
আমি-- আম্মুউউউ
আম্মু-- শোন দুষ্টুমি সবার সাথে করলেও আমার সাথে করতে আছিস না। কারন ভুলে যাসনে, তুই যদি দুষ্টু হোস তাহলে আমিও দুষ্টুর মা।
আমি-- হুম। খুদা লাগছে এখন খাইয়ে দাও।
**খাবার টেবিলে**
আমি-- আম্মু আমার বিয়েতে মামা থাকবে না তাই কি কখনো হয়। আচ্ছা আম্মু মামা কোথায় যেনো থাকে।
আম্মু-- ওই কানা ডা
আমি-- কিহ মামা কানা? কি বলো আগে তো জানতাম না যে মামা কানা😒
আম্মু-- হারামজাদা তোর মামা কানা হতে যাবে কেনো? তোর মামা থাকে কানাডাতে😡
আমি-- ওহ তাই বলো। আমি ভাবলাম মামাকে মনে হয় সত্যি সত্যি কানা বলছো😂
আম্মু-- তোরে বললে এক কথা তুই বুজিস আরেক কথা। ভালো ভাবে কোন জিনিস টা বুজস।
আমি-- হ বুঝি না? এখন খাইয়ে দাও তো।
তারপর আম্মু আমাকে খাইয়ে দিলো। খাওয়া শেষ করে রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পরলাম। কারণ বাড়িতে আসতে আসতেই সন্ধ্যা হয়ে গেছিলো।
সকাল বেলা আর সব গল্পের মতোন আমারো শরীরে পানি অবুভব করলাম। ভাবলাম একি আমার ছাঁদ টা আবার ফুটো হয়ে গেলো নাকি। চোখ মেলে দেখি আম্মু হাতে বালটি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি-- আম্মু এই সকাল সকাল আমার ঘুম না ভাঙাইলে তোমার হচ্ছিল না তাই না?
আম্মু-- ঘুমতো ভাঙাতেই হবে। আজ তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাবো না। তারাতাড়ী উঠে রেডি হয়ে নে। আমরা বের হবো।
আমি-- তুুমি কি আমার বিয়ে দেবার জন্য পাগল হয়ে গেলে নাকি। এই ভোর বেলা কেউ পাত্রী দেখতে যায় নাকি।
আম্মু-- ভোর পাইলি কোথায় তুই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখ কত বাজে। সারে নয় টা (৯;৩০) বেজে উঠল আর উনি বলছেন এখন নাকি ভোর বেলা।
আরে তাই তো ঘড়ির দিকে তাকিয়ে।
আমি-- ধুর তাহলে একটু আগেই ডেকে দিবে না?
আম্মু-- আপনি হলেন লাটসাহেব এত সকালে কি আর আপনার ঘুম ভাঙেন? হারামজাদা সেই কখন থেকে ডাকছি উঠার কোন নাম নাই আর উনি বলছেন তাকে নাকি ডাকি নাই। তারাতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়েনে।
আমি-- তুমি না আমার সাথে কেমন ভাবে কথা বল? একটু ভালো ভাবে কথা বললে কি এমন হয়।
তারপর উঠে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া করে আম্মুর সাথে মেয়ে দেখতে চলে আসলাম।
মেয়ের বাড়িতে বসে আছি,,,,, সামনে অনেক রকমের খাবার রাখা আছে। তার মধ্যে আমি একটা সিংগাড়া হাতে নিয়ে খাইতে খাইতে মেয়ের মাকে বললাম,,,,,,
আমি-- আন্টি,,, সিংগাড়ার ভিতরে যে পেয়াজ গুলো দিয়েছেন ওগুলো গোল করে না কেটে যদি তিন কোন করে কাটতেন তাহলে আরো সুস্বাদু লাগতো। আর অন্য রকম একটা টেস্ট চলে আসতো এর ভিতর।☺
তারপর শরবত খেয়ে
-- আন্টি শরবতটা কেমন যেনো তেতো তেতো। মনে হয় অবাত্তি কাচা লেবু তাই না। তবে এই শরবতের মধ্যেই একটু গুড়ের সাথে চিনি বেশি করে মিশিয়ে দিলে ভালো হতো। খাইতে সেই লাগতো🙈।
আমি কথাটা বলে আম্মুর দিকে তাকালাম। দেখলাম আম্মু রাগী লুক নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে
আর মেয়ের মা তো আমার কথা শুনে পুরাই আবুল হয়ে গেছে। পিয়াজ গোল করে কাটা আর তিন কোন করে কাটাতেও সিংগাড়ার স্বাদ পালটে যায়😏। এ আবার কেমন কথা😓।
(মেয়ের মা মানে আমার হবু শাশুড়ী মা তুমি তো জানো না আমি কেমন ছেলে 😈 আজ যদি আম্মু আমার পাশে না থাকতো তাহলে শুধু সিংগাড়া আর শরবত না তোমার সব গুলো খাবারের স্বাদ পালটে দিতাম।আমি--ৃমনে মনে)
আম্মুর আমার দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে থাকার জন্য আর কিছু বললাম না। তাই নিচের দিকেই তাকিয়ে রইলাম। কিছুক্ষণ পরে মেয়েকে নিয়ে আসা হলো। তারপর মেয়েটি আমাকে দেখে বলে উঠলো,,,,
মেয়েটি-- আরে হোকা খোর আপনি?
মেয়ের মুখের দিকে তাকাতেই শরবত গলায় ঠেকে বেশ্ম খেলাম।
বিয়ে করার জন্য মেয়ে দেখতে এসে বসে আছি। কিছুক্ষণ পরে মেয়েকে আনা হলো। মেয়েটা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললো
মেয়ে-- আরে হোকা খোর আপনি,,, আপনি এখানে। আরে আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো? চিনতে পারছেন না নাকি। আমাদের তো কালকে বাসের মধ্যে দেখা হলো। আপনি হোকা টানছিলেন। আপনার হোকা টানার স্টাইল কিন্তু সেই ছিলো।(একদমে মেয়েটা শুধু বলেই গেলো। আমার মান ইজ্জত মনে হয় এবার সব পাটের খেতে চলে গেলো রে। আম্মুর দিকে তাকিয়ে দেখি আম্মু একবার আমার দিকে তাকাচ্ছে একবার মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছে। তারপর আম্মু বললো)
আম্মু-- মা তুমি এসব কি বলছো? কে হোকা খোর? আর তোমরা দুজন দুজনকে চেনো নাকি?
মেয়েটি-- আসলে আন্ট আপনার ছেলে না কালকে,,,,,,,(আমি মেয়েটির কথা থামিয়ে)
আমি-- হ্যা আম্মু আমি ওনাকে চিনি তো। কাল বাসেই তো ওনার সাথে পরিচয় হলো।
আম্মু-- তা বুঝলাম! কিন্তু হোকা খোর টা কে?
আমি-- আমি আমি।
আম্মু-- কিহহহহ তুই হোকা খোর😡
আমি-- আরে আম্মু আমি ওনাকে ওইযে ওই গল্পটা বলেছিলাম বাসের মধ্যে। হোকা টানার গল্প! তুমি আমায় ছোট বেলায় যে গল্পটা বলে ঘুম পারিয়ে দিতে না সেই গল্পে উনাকে বলেছিলাম ওই কথা বলছেন উনি।
আম্মু-- আমি তোকে হোকা টানার গল্প বলে কবে ঘুম পারিয়ে দিলাম।
আমি-- বাদ দাওত ছোট বেলায় তোমার হয়তো মনে নেই।
আম্মু-- আমি তোরে গল্প শুনাইতাম আমার মনে নেই আর তোর সে কথা মনে আছে?
আমি-- হুম,,,, আমার ব্রেনটা যে সেই। (মেয়েটাকে উদ্দেশ্য করে) আর আপনিও না কোন জায়গায় কি বলতে হয় তাও জানেননা?
মেয়েটি-- আচ্ছা সরি সরি! (মেয়েটি তার আম্মু কে উদ্দেশ্য করে) আম্মু আমি উনার সাথে আলাদা কথা বলতে চাই।
মেয়ের মা-- আচ্ছা যা তোর রুমে নিয়ে গিয়ে কথা বল।
মেয়েটি দাঁড়িয়ে গেলো তবুও আমি বসে আছি। তাই আম্মু বলে উঠলো,,,,,,
আম্মু-- কিরে তুই বসেই রইলি কেনো?
তারপর আমিও উঠে মেয়েটির পিছনে পিছনে তার সাথে যেতে লাগলাম। মেয়েটি ঘরের মধ্যে ঘুকেই আমাকে একটান মেরে ঘরের মধ্যে ডুকিয়ে নিলো। তারপর ঠাসসস করে দরজা টা আটকিয়ে দিলো।
আমি-- ওই কি করছেন এতো জোরে কেউ দরজা লাগায় নাকি?
মেয়েটি-- চুপ শালা! আমার বাপের দরজা আমি যে ভাবে কেনো লাগাই তাতে তোর বাপের কি?(মাইয়া বলে কি? এক্কেবারে আপনি থেকে তুই তার সাথে শালা ফ্রি! তার ছেঁড়া নাকি মেয়েটার)
আমি-- পাগল হয়ে গেলেন নাকি কি বলেন এগুলা?
মেয়েটি-- আমি ঠিকই আছি! শালার সাহস কত আমাকে কাল কি বলছিলি আমায় মনে আছে?
আমি-- কি বলছিলাম?
মেয়েটি-- আমি বাচাল? তুই বাচাল তোর গুষ্টির সবাই বাচাল। আর একটু আগে কি বললি? আমি যায়গা অনুযায়ী কথা বলতে পারিনা তাই না?
আমি-- তার জন্য সরি।(নিচু কন্ঠে)
মেয়েটি-- ঠিক আছে। এবারের মতো মাফ করে দিলাম। আর এখন থেকে আমার সাথে এই ভাবেই কথা বলবি। মনে থাকে যেনো।
আমি-- হুম(ছেমরি আমাকে তুমি এখনো চেনো না। তোর বাড়িতে আসছি জন্য যা মন চায় তাই করছিস না। দিন আমারও আসবে। এই দিন, দিন না আরও দিন আছে, এই দিন নিয়ে যাবো সেই দিনের কাছে।)
মেয়েটি-- এইতো গুড বয়। এখন বল তুই বিয়ে করতে চাচ্চিস না কেনো? গফ টফ আছে নাকি?
আমি-- আরে নাহ। আমার মতো শিশু বাচ্চা ছেলে গফ কোই পাবো?
মেয়েটি-- থাকলেও ভুলে যা, আমায় এখন বিয়ে করবি তো?
আমি-- নাহ (আমি না বলাতে মেয়েটা টেবিলের ওপর থেকে একটা চাকু নিয়ে আমার গলায় ধরে)
মেয়েটি-- কি বললি কুত্তা আরেক বার বল?
আমি-- আরে আরে কি করছেন কি? গেলে যাবে তো ছাড়ুন প্লিজ ছাড়ুন। আমি এখনো বিয়ে করি নাই। লেগে গেলে আমার বউ টা বিয়ের আগেই বিধবা হয়ে যাবে।
মেয়েটি-- হুম আমিও বিয়ের আগে বিধবা হতে চাইনা। এখন বল আমাকে তুই বিয়ে করবি কিনা?(গলায় ছুরি টা আরও একটু চাপ দিয়ে)
আমি-- করবো করবো। এবার ছাড়ুন প্লিজ,,,।
মেয়েটি-- এইতো গুড বয়। এখন নিচে চলো সোনা। আর আমাদের মধ্যে এই ঘরে যা হলো নিচের কেউ যেনো জানতে না পারে।
আমি-- হুম (আমি এই গুলা এমনিতেই কাউকে জানাবো না। আমার সাথে এমন কেউ জীবনে করে নাই আর তুই? আম্মু যদি এই কথাটা জানতে পারে তাহলে তো আমাকে খেপাতে খেপাতে শেষ করে দিবে। আমার মতো ছেলে একটা মেয়ের কাছে হেনস্তা হইছে ভাবা যায়)
তারপর আমি দরজার কাছে আসতেই,,,,,,
মেয়েটি-- ওই দাঁড়াও।
আমি-- আবার কি হলো?
মেয়েটি-- তোমার কপালে ঘাম জমে আছে আসো মুছে দেই। আর আমার বর টার সাথে তো পরিচয়ই হলো না। (তারপর মেয়লটি তার ওড়না দিয়ে আমার কপালের ঘাম অতি আদরে মুছে দিলো। মেয়লদের মন বোঝা সত্যিই কঠিন। কিছুক্ষণ আগেও যেনো এই মেয়েটা আমাকে তেলে বেগুনে ভেজে খাবে আর এখন এই মেয়েটাই আমার ঘাম গুলো মুছে দিচ্ছে। হায়রে মেয়ে জাত তোদের মন বোঝা সত্যি কঠিন)
মেয়েটি-- কি ভাবছো এত? আমরা কি পরিচিত হবো না।
আমি-- না মানে আসলে।
মেয়েটি-- কি আমতা আমতা করছো? ওকে! আমি জান্নাতুল রিয়া। অনার্স প্রথম বর্ষ। তুমি আমাকে রিয়া বলেই ডাকতে পারো।
আমি-- আমি মোঃ আঃ আজিজ। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। আপনি আমাকে আজিজ বলেই ডাকতে পারেন।
রিয়া-- কেনো আমি দুষ্টু বলে ডাকলে কি সমস্যা আছে নাকি? আর তুমিও আমাকে তুমি করলই বলবে ঠিক আছে।
আমি-- হুম।
রিয়া-- হুম এখন নিচে চল।(মুচকি হাসি দিয়ে)
তারপর আমি আবারো রিয়ার পিছনে পিছনে নিচে নেমে আসলাম। আম্মু আমার মুখের দিকে তাকিয়ে,,,,,,,,,,
আম্মু-- কিরে মন মরা করে আছিস কেনো?
রিয়া-- আসলে আন্টি আমার ঘরের ফ্যান টা নষ্ট তো তাই গরমে এমন হইছে।
আম্মু-- ওহ,,,,,,,,,,,,,! কিরে বউ মাকে পছন্দ হয়েছে তোর?
আমি-- হুম(মাথা ঝাকিয়ে)
সকালে এক সাথে বললো-- আলহামদুলিল্লাহ
তারপর বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে আমাদের বাড়িতে চলে আসলাম।
রাত ১১ টা ঘুমিয়ে আছি। হঠাৎ ফোনের শব্দে ঘুমটা ভেঙে গেলো। অচেনা নাম্বার এসময় আবার কে ফোন দিলো। ধরার পড়ে,,,,,,,,,
ওপাশে থেকে-- আমার বাবু টা কি করে?(মেয়েলী কন্ঠে)
আমি-- জ্বি আম্মু ঘুমাইছিলাম।
ওপাশে থেকে-- ওই কুত্তা আমি তোর কোন কালের আম্মু লাগি?
আমি-- তাহলে কি খালামুনি?
ওপাশে থেকে-- কত্তায়য়য়য়য়য়😠😨😡

No comments

Powered by Blogger.