সিনিয়র বউ
যখন আমি বিয়ে করবো বলেছি তখন আব্বা বলছে আগে পড়া শোনা শেষ করে চাকরি করো তারপর বিয়ে করাবো! আর এখন আব্বা নিজেই আমার জন্য বিয়ে ঠিক করেছে তাও আবার সিনিয়র একটা মেয়ের সাথে। আম্মা আপনি আব্বাকে বলে দিবেন আমি এই বিয়ে করতে পারবোনা।
সিনিয়র হয়ছে তো কি হয়ছে? যদিও মেয়েটা সিনিয়র কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর! আমি বলিকি তুই মেয়েটাকে বিয়ে করে ফেল। আমার কাছে মেয়েটার ছবি আছে তুই মেয়েটার ছবি দেখে নে। আম্মা আমার দিকে ছবিটা এগিয়ে দিয়েছে। ছবিটা না দেখে আমি চলে যেতেছি তখনি আম্মা বলে।
মা:- সৌরভ মেয়েটাকে একবার দেখ তারপর বলিস! আর তাছাড়া মেয়েটা খুব ভালো তোকে অনেক ভালোবাসবে।
আমি:- আমি এই সিনিয়র মেয়েকে বিয়ে করতে পারবোনা! আচ্ছা আম্মা আমাকে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করাচ্ছেন কেনো? আর তাছাড়া আমি এখনো কোনো চাকরি পায়নি।
মা:- কে বলছে তুই চাকরি পাসনি! তোর চাকরি তো হয়ে গেছে গতকাল যে ইন্টারভিউ দিয়ে এসেছিস ঐটা হয়েছে! এই দেখ বাড়িতে চিঠি পাঠিয়েছে ওরা।
আমি:- সত্যি কিন্তু ওনারা তো বলছে লোকের দরকার নেই। দেখি দাও তো বলে চিঠিটা পড়ে অনেক খুশি হলাম!
মা:- এবার তো বিয়ে করতে কোনো সমস্যা নেই? এখন বিয়েটা করে ফেল। তোর আব্বা চাই এই মেয়েটাকে তুই বিয়ে কর।
আমি:- যেহেতু বিয়ে করাতে চাচ্ছেন তাহলে আমার থেকে জুনিয়র মেয়ে বিয়ে করান। আর তাছাড়া সিনিয়র বউ হলে রাস্তায় বের হলে লোকেরা হাসা হাসি করবে। বন্ধুরা বলবে টাকার জন্য আমি এমন সিনিয়র মেয়ে বিয়ে করেছি। প্লিজ আম্মা আমার পক্ষে সম্ভব না এই সিনিয়র টাইপের কোনো মেয়েকে বিয়ে করা। তখনি আব্বা এসেছে।
বাবা:- কি হলো সৌরভ কি বলছে?
মা:- সৌরভ মেয়েটাকে বিয়ে করতে চায়ছেনা।
বাবা:- কেনো বিয়ে করতে চাচ্ছেনা? ও তো সেইদিন বলছে ওকে বিয়ে করিয়ে দিতে! আমি সব পাকা কথা দিয়ে এসেছি!
আমি:- পাকা কথা দিবার আগে একবার আমার কথাটা চিন্তা করা দরকার ছিলো! আমি সিনিয়র মেয়েকে বিয়ে করবো কিনা সেইটা ভাবার দরকার ছিলো।
বাবা:- তোর কথা চিন্তা করেই আমি এই বিয়েটা ঠিক করেছি! কথা কম বলে বিয়ের জন্য নিজেকে তৈরি করে নাও! তোর বড় ভাই আজ পর্যন্ত আমার সাথে তর্ক করেনি আর তুই আমার মুখে মুখে তর্ক করিস! বড় বউ তুমি সৌরভকে বুঝিয়ে দাও বিয়ে করতে হলে এই বিয়েটা করতে হবে। আর তানা হলে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলো!
আমি:- ঠিক আছে! সিনিয়র মেয়ে বিয়ে করার চায়তে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া অনেক বেটার। আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো।
মা:- সৌরভ কেনো এমন করছিস? মেয়েটি তোর থেকে বেশি বড় নয়! মাত্র এক থেকে দের বছরের বড় হবে!
আমি:- আম্মা আপনিও বলছেন? আমি থাকবোনা বাড়িতে বলে রুমের দিকে যাচ্ছি ব্যাগ গুচাতে তখনি চাচিমা আর ভাবি এসেছে।
চাচিমা:- সৌরভ কি করছো?
আমি:- ব্যাগ গুচাচ্ছি।
চাচিমা:- আমি বলিকি তুমি বিয়েটা করে নাও!
ভাবি:- হ্যা সৌরভ বিয়েটা করে নাও।
আমি:- কি বলছেন আপনারা সিনিয়র একটা মেয়েকে বিয়ে করবো মানে? আমার পক্ষে সম্ভবনা! সবাই আব্বার সাথে হাত মিলিয়েছেন!
চাচিমা:- আমার কথাটা তুমি শুনো! তুমি বিয়েটা করো মেয়েটিকে তাড়াবার দ্বায়িত্ব আমার!
ভাবি:- হ্যা চাচিমা যা বলছে করো!
আমি:- বিয়ে করার দরকার নেই আর তাড়াবার দরকার নেই! এখন বিয়ে করে তাড়িয়ে দিলে পড়ে সবাই বলবে ছেলের দোষ আছে তাই বউ চলে গেছে! এরপর আর কোনো মেয়ে আমাকে বিয়ে করতে চায়বেনা! তোমাদের প্লান মত কাজ করলে সারাজীবন আমার কপালে দুঃখ আছে। আমাকে আমার প্লান মত কাজ করতে দেন! যান আপনাদের কারো কোনো সাহায্যের দরকার নেই। ওনরা চলে গেছে তখন মা এসেছে!
মা:- সৌরভ বস আমি কিছু কথা বলি! শুন তোর বাবার পছন্দটা খারাপ নয়! মেয়েটির বাবাকে কথা দিয়েছে তোর বাবা! এখন তুই যদি বিয়েটা না করিস তাহলে তোর বাবা সহ আমাদের সবার মানসম্মান নষ্ট হবে! আমি তোর মা আমি বলছি বিয়েটা কর!
আমি:- ঠিক আছে তবে একটা কথা দিতে হবে তোমাকে?
মা:- কি কথা বল?
আমি:- মেয়েটির সাথে ছয় মাস সংসার করবো যদি ছয় মাসের মধ্যে আমি ওকে বউ হিসাবে মেনে নিতে না পারি তাহলে তুমি নিজে মেয়েটিকে আমার জীবন থেকে দূরে সরিয়ে দিবে।
মা:- ছয় মাস কম হয়ে গেছে নয়(৯) মাস সময় দিতে হবে! যদি নয়(৯) মাসের মধ্যে মেয়েটিকে তোর স্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে না পারিস আমি নিজেই তোদের ডির্ভোস করিয়ে দিবো।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে আমি রাজি আছি! মা অনেক খুশি হয়েছে!
মা:- তাহলে মেয়েটিকে দেখে নে আমি তোর বাবাকে বলি বিয়ের আয়োজন করতে! মা চলে গেছে আমি প্লান করতে থাকলাম কি করে ওকে কষ্ট দিবো আর জীবন থেকে তাড়াবো। রুমে বসে বসে প্লান করা শেষ বিকালে নিচে গিয়ে দেখি বিয়ের সব শপিং করা শেষ। আমি ওদের সব কাহিনী দেখছি।
আব্বা আমার দিকে এগিয়ে এসেছে।
বাবা:- সৌরভ আয় আমার সাথে! আব্বা আমার হাত ধরে নিয়ে গেছে! সৌরভ শুন সাবিহার যার সাথে বিয়েটা হবার কথা ছিলো হঠাত করে ওরা ভেঙে দিয়েছে। বিয়ের জন্য কমিনিউটি সেন্টার সহ সব গেষ্টদের দাওয়াত দেওয়া হয়ে গেছে যার ফলে ওর বাবা টেনশনে অনেকটা অসুস্থ হয়ে গেছে! আমি কথা দিয়েছি তোর সাথে সাবিহার বিয়ে হবে ঐ ডেট মুতাবে। মেয়েটি অনেক লক্ষী তুই অনেক ভাগ্যবান তোর সাথে সাবিহা বিয়ে হচ্ছে বলে। যা গিয়ে তৈরি হয়ে আয় আমরা এখুনি রওনা হবো।
আমি:- ঠিক আছে! বাবা চলে গেছে আমি রুমের দিকে যাচ্ছি আর মনে মনে ভাবছি! যাক তাহলে সিনিয়র মেয়েটির নাম সাবিহা ওকে তাড়াবার রিজন পেয়ে গেছি এই রিজনের যের ধরে ওকে টর্চার করতে থাকবো! রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে রেডি হলাম। কিছুক্ষণ পর নিচে গেছি বাবা, চাচা, চাচি, ভাইয়া, ভাবি, আর ছোট চাচাত বোন রিমি সহ সবাই মিলে গেলাম! গাড়িতে থেকে নেমেছি কিছু পিচ্চি ছেলে মেয়ে এসে নিয়ে গেছে! আমাকে বসিয়ে দিয়েছে আমি রুমাল দিয়ে বসে আছে! তবে আমার অন্য কোনো আত্বীয় স্বজনদের জানায়নি! এমনকি আমার কোনো কাছের বন্ধুদেরকে কিছু বলিনি আমার বিয়ের ব্যপারে। কিছুক্ষণ পর ভাবি এসেছে।
ভাবি:- সৌরভ সবাই কি বলছে যানো?
আমি:- কি বলছে?
ভাবি:- বলছে তুমি নাকি টাকার লোভে এমন একটা সিনিয়র আর কালো দেখতে মেয়েকে বিয়ে করেছো? মেয়েটি তেমন সুন্দর না মেয়েটিকে দেখে আসছি কালো আর চেহারাটা তেমন ভালোনা।
আমি:- কি বলো তুমি?
ভাবি:- আমি নয় মানুষ গুলি কানা ঘুষা করছে! তোমার জীবনটা বরবাদ করে দিয়েছে!
আমি:- মাত্র তো কয়টা মাস এর পরে তাড়িয়ে দিবো! কিন্তু মা তো বলছে সাবিহা অনেক সুন্দর! তখনি কাজি মৌলবি সাহেব এসেছে! ভাবি চলে গেছে ওনারা বিয়ের কাজটা কম্পিলিট করেছে! দোয়া শেষে বাবা আমাকে সাবিহার বাবা মার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে!
জারার বাবা:- বাবা সৌরভ আমার মেয়েটাকে তোমার হাতে তোলে দিলাম! আজ থেকে ওর সূখ দুঃখ সব তুমি দেখবে।
বাবা:- আরে দোস্ত তুই চিন্তা করিসনা আমরা সবাই সাবিহাকে দেখে শুনে রাখবো। সাবিহা কান্না করছে আমি ওর হাতটা ধরে দাঁড়িয়ে আছি! সাবিহা আমার থেকে হাতটা ছাড়িয়ে ওর বাবাকে ধরে কান্না করছে! আমি সোজা গাড়িতে এসে বসেছি কিছুক্ষণ পর সাবিহাকে নিয়ে এসে গাড়িতে বসিয়ে দিয়েছে! গাড়িটা ছেড়ে দিয়েছে সাবিহা কান্না করছে কিছুক্ষণ পর সাবিহা কান্না থামিয়েছে! আমি কিছু বলিনি সাবিহার চেহারাটা এখনো দেখিনি এমনিতেই রাত তার উপর লম্বা ঘোমটা দিয়ে রাখছে! গাড়িটা থামছে আমাদের বাড়ির সামনে এসে।
ভাইয়া:- সৌরভ সাবিহাকে নিয়ে আয়! আমি নিজেই নেমে হাটা দিয়েছি!
বাবা:- কিরে সৌরভ সাহেদ কি বলেছে সাবিহাকে সাথে নিয়ে তুই আয়।
আমি:- নিজেই আসতে পারবে! বলে আমি বাড়ির ভিতরে দিকে হাটা দিয়েছি! মা বরণ করার জন্য দরজার সামরে দাঁড়িয়ে আছে!
মা:- সৌরভ তুই একা ভিতরে ঢুকতে পারবিনা! সাবিহাকে সাথে নিয়ে তোকে ঢুকতে হবে! তখনি ভাবি সাবিহাকে ধরে নিয়ে এসেছে! আমার সাথে দ্বাড় করিয়ে দিয়েছে! মা বরণ করে নিয়েছে! আমি ভিতরে ঢুকেই সোজা রুমের দিকে যেতেছি তখনি মায়ের ডাক। সৌরভ এদিকে আয়!
আমি:- আর কি সব তো করেছি!
মা:- রুমে পরে যাস এখানে বস! সাবিহার সাথে বসিয়ে কত গুলি ছবি তোলেছে! আমি সাবিহার দিকে একবারের জন্য তাকায়নি তবে সাবিহা লম্বা আছে! ছবি তোলা শেষ করে ভাবিকে দিয়ে সাবিহাকে রুমে পাঠিয়েছে! আমি নিচে বসে রিমির সাথে দুষ্টমি করতেছি তখনি মোবাইলে ফোন এসেছে হাতে নিয়ে দেখি জুয়েল ফোন করেছে রিসিভ করতেই বলে।
জুয়েল:- কিরে বাড়িতে কি করিস? ব্রিজে আয় আমরা সবাই আড্ডা দিচ্ছি।
আমি:- হ্যা আসছি! রিমিকে রেখে আমি ব্রিজে চলে গেছি! গিয়ে দেখি জুয়েল সহ কিছু ফ্রেন্ড আড্ডা দিতেছে! আমাকে দেখে জুয়েল বলে!
জুয়েল:- কিরে পাঞ্জাবী পড়ে এসেছিস কেনো?
আমি:- পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে গেছিলাম! সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছি আর কিছুক্ষণ পর পর বাবা ফোন করছে! আমি মোবাইল সাইলেন্ট করে রাখছি! ঘন্টা খানেক আড্ডা দিবার পরে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম! বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই বাবা শুরু করেছে!
বাবা:- আজকেও কি তোর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া দরকার ছিলো। নতুন বউটাকে ঘরে রেখে তোর বাহিরে যেতে একটুও ভিবেকে বাধা দিলোনা! আরো অনেক কিছু বলছে! আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে শুনেছি! দাঁড়িয়ে আছিস কেনো রুমে যা!
আমি:- হ্যা যাচ্ছি! আমার পিছু পিছু বাবা এসে দেখছে আমি রুমে যাচ্ছি কিনা! আমি রুমে ঢুকেই দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে ঘুরেছি তখনি চেয়ে দেখি কেউ আমার পা ছুয়ে সালাম করছে! আমি সরে গেছি তখনি সাবিহা নিচে বসে আছে! আবার আমার দিকে আসতে ছিলো! থাক আমাকে সালাম করতে হবেনা!
সাবিহা:- কিন্তু আম্মু বলে দিয়েছে বাসর ঘরে স্বামীকে সালাম করতে হবে!
#সব গুলো পর্ব আমার মেঘ বিন্দু - Megh Bindu পেজে দেওয়া আছে পড়ে আসতে পারেন। আরও সুন্দর সুন্দর গল্প পড়তে https://www.facebook.com/MeghBinduu লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন ।
আমি:- এইটা আপনাকে করতে হবেনা কারণ আপনি আমার থেকে বড়! আর বড়রা ছোটেদের সালাম করেনা!
সাবিহা:- স্বামীরা যতই ছোট খারাপ হয়না কেনো তাদের কাছে স্ত্রীরা ছোট থাকে! আমাকে সালামটা করতে দেন প্লিজ।
আমি:- দেখুন বেশি নেকামু করবেন না! আপনি সিনিয়র সিনিয়রের মত থাকবেন আর আমি আপনাকে বউ হিসাবে মেনে নিতেই পারবোনা! তখনি সাবিহা একদম চুপ করে গেছে! যখন বন্ধুরা যানবে আমার বউ সিনিয়র তখন সবাই আমাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করবে! আপনাকে বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে ছিলোনা! বাবা মায়ের কথার উপর ভিত্তি করে আপনাকে বিয়ে করেছি!
সাবিহা:- আমি জানি আপনি এসব দুষ্টমি করে বলছেন! এখন কথা কম বলে আসেন আমরা ফেমিলি প্লান করি।
আমি:- কিসের ফেমিলি প্লান? আর আপনি আমাকে তুমি করে বলবেন! আমি আপনার থেকে ছোট!
সাবিহা:- ছোট হলে কি হয়ছে! স্বামীদের স্ত্রীরা আপনি করে বলতে হয়! এতে স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা বারে!
আমি:- শুনেন আপনি যা ভাবছেন আমি কিন্তু তানা! এই বাড়িতে থাকতে হলে আমার কথা মেনে থাকতে হবে! রুমে আমার সব কথা চলবে! রুমে আমার যা খুশি করবো কোনো কিছু বলা যাবেনা! আমাকে কখনো কোনো কিছু জিজ্ঞেস করা যাবেনা!
সাবিহা:- আরে দূরর এসব কিছুই মানতে পারবোনা!
আমি:- মানতে হবে! আর যা যা বলছি তার একটা কথা যদি বাবাকে বলেন তাহলে আপনার কপালে খারাপি আছে। আপনার মত কালো সিনিয়র মেয়েের সাথে সংসার করার কোনো ইচ্ছে আমার নেই। রাত অনেক হয়ছে কথা কম বলে এখন গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। আমার ঘুম পাচ্ছে আমি শুয়ে পড়লাম। খাটে শুয়ে লাইট বন্ধ করে দিয়েছি।
সাবিহা:- লাইট বন্ধ করলেন কেনো?
আমি:- লাইট জ্বাালিয়ে আমি ঘুমাতে পারিনা!
সাবিহা:- কিন্তু আমার গহনা গাটি গুলা খুলার সময় টুকু তো দিবেন?
আমি:- এতক্ষন কি করছেন? এখন খুলতে হবেনা নিচে শুয়ে পড়েন সকালে খুলেন! লাইট আর জ্বলছেনা!
সাবিহা:- কিন্তু এত গহনা নিয়ে ঘুমাবো কি করে?
আমি:- আর যদি একটা কথা বলেন তাহলে রুম থেকে সোজা ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো! সাবিহা আর কোনো কথা বলেনি আমি ঘুমিয়ে গেছি! সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সাবিহা রুমে নেই! কি হলো সাবিহা গেলো কোথায়?
চলবে.......
#২_নং_পর্ব_পরতে_নিচের_লিংক_এ_ক্লিক_করুন 👇👇👇
https://www.facebook.com/.../a.105882448.../144578481107858/
!!
#সিনিয়র_বউ
#পর্ব:-(০১)
No comments