অজানা ভালোবাসা
লেখকঃমুরাদ( পাগলির_পাগলা)
পর্বঃ৩
আমি জুহির কাছে এগিয়ে গেলাম।
=কেমন আছেন আপনি(জুহি)
=জি ভালো।আপনি?(আমি)
=এখানে কেন এসেছেন আমার পিছু পিছু?(জুহি)
=আমি কি পাগল নাকি।আপনার মতো পাগলের পিছু পিছু আসবো(আমি)
=তাহলে এখানে কি করছেন?(জুহি)
=কলেজে মানুষ আসে কি জন্য(আমি)
=কলেজে মানুষ আর কি করতে আসে পড়তে।(জুহি)
=তাহলে আমি কি করতে আসছি?(আমি)
=ওহ...সরি(জুহি)
=ঠিক আছে।আপনার ফোন বন্ধ ছিল কেন সেইদিন?(আমি)
=ফোনে চার্জ চিলো না।(জুহি)
=ওহ...(আমি)
=সেইদিন না হয় ফোন বন্ধ ছিল,তাহলে এই কয়দিন ফোন দেননি কেন হুম?(জুহি)
=আমি ভাবছিলাম আপনি হয়তো ভুল নাম্বার দিছেন।(আমি)
=ঠিক আছে চলেন এখন।(জুহি)
=কোথায় যাবো?(আমি)
=কলেজে কি করতে আইছেন?(জুহি)
=আপনি এই কলেজেই পড়েন।(আমি)
=হুম এই কলেজেই।(জুহি)
তারপর দুইজন একসাথে ক্লাসে গেলাম।তারপর ক্লাসে গিয়ে বসলাম।
=কিরে তোরতো কোনো পাত্তাই নেই এই কয়দিন(জয়)
=আরে দোস বাড়িই ছিলাম।(আমি)
=আচ্ছা ঠিক আছে।ওই মেয়েতো আমরা বিয়ে বাড়ি দেখছিলাম তাই না(জয়)
=কোন মেতেটা?(আমি)
=যার সাথে ক্লাসে ঢুকলি(জয়)
=ওহ...হ্যা তাইতো।(আমি)
=ভাব না নিয়ে বল ওই মেয়ের সাথে একসাথে কেন এলি।(জয়)
=এইতো গেইটের সামনে দেখা হইছে(আমি)
=ওহ..আচ্ছা (জয়)
তারপর ক্লাসে স্যার আসলো।
=তোমারতো আগে দেখেনি।(স্যার,আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল)
=মানে স্যার আমি ভর্তি হবার পর কলেজে আসিনি।আমার ভাইয়ের বিয়ে হলোতো তাই।(আমি)
=তোমার নাম কি?(স্যার)
=আমার নাম মুরাদ(আমি)
তারপর স্যার ক্লাস শুরু করলো। ক্লাস শেষ হবার পর বাড়ি দিক রওয়ানা দিবো ঠিক তখনি।
=এই যে শুনছেন।(জুহি)
=হুম বলেন(আমি)
=আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে যান(জুহি)
তারপর ফোন নাম্বার দিলাম।
=ওকে রাতে কথা হবে বাই(জুহি)
তারপর আমি বাড়ি চলে এলাম।আপনারা ভাবছেন জয় কোথায় গেলো। যারা প্রথম পর্ব পড়ছেন তারা নিশ্চই যানেন জয়ের গার্লফ্রেন্ড আছে।তার সাথেই জয় গেছে।
তারপর বাড়ি ফিরে গোসল করে খেয়ে নিলাম।তারপর মোবাইল হাতে নিয়ে ফেচবুকে ঢুকলাম।ঢুকতেই জয়ের ফোন।
=দোস্ত তুই কোথায়?(জয়)
=কেন?বাড়ি(আমি)
=জলদি পার্কে আয়।(জয়)
তারপর গিয়ে দেখি জয় বসে আছে।
=কিরে ডাকলি কেন?(আমি)
=আজকের খবর পড়েছিস?(জয়)
=কই নাতো।কেন কি হইছে?(আমি)
=এই দেখ।(এই বলে খবরের কাগজ আমার দিকে এগিয়ে দিলো)
=এতো দেখছি একটা মেয়েকে রেপ করা হয়েছে।(আমি)
=হ্যা।কিন্তু সন্তাশিটা একটা নিতার ছেলে বলে পুলিশ সন্তাশিটাকে ধরছেনা।(জয়)
=বুঝেছি এখন কি করতে হবে(আমি)
তারপর ভাইয়াকে ফোন দিলাম।
ভাইয়া বলতেই ভাইয়া বলল.....=আমি।যানি তুই কি বলবি(ভাইয়া)
=এখন কি করব তুমিই বলো(আমি)
=তোরা যা ভেবেছিস তাই কর।আমি।আসছি এখনি(ভাইয়া)
=তোমাকে আসতে হবেনা।বাড়ি ভাবি একা থাকতে পারবেনা।তুমি বরং বাড়ি থাকো। আমরা কয়েক জন মিলে যাচ্ছি।(আমি)
=কিন্তু(ভাইয়া)
=কোনো কিন্তু না আমি যা বললাম তুমি তাই করো কেমন।এখন রাখছি(আমি)
=হুম।ভালো ভাবে কাজটা করিস কেমন।(ভাইয়া)
=আচ্ছা(আমি)
ফোন কেঁটে দিলাম।এদিকে অন্ধকার হয়ে গেছে।
=জয় তুই একটা কাজ কর(আমি)
=কি কাজ?(জয়)
=যেই ছেলেটা মেয়েটাকে রেপ করছে তার বাড়ির ঠিকানা বের করে,তারপর আমাদের লোক ওই বাড়ির সামনে পাঠা।(আমি)
=বাড়ির ঠিকানা আগেই বের করছি(জয়)
=ভালো করেছিস।আমাদের লোক পাঠিয়ে দে এবং অপেক্ষা করতে বল।(আমি)
=আচ্ছা(জয়)
এরিয়ে মধ্যে অনেক অন্ধকার হয়ে গেছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ৮ টা বাজে।সেই সময়ি অজেনা একটা নাম্বার থেকে ফোন।
=হ্যালো কে বলছেন।(আমি)
=আপনি কি মুরাদ বলছেন?(মেয়েটি)
=হ্যা আমি মুরাদ আপনি কে?(আমি)
=আমি জুহি(জুহি)
=ফোন রাখেন পরে কথা হবে।(আমি)
=ফোন রাখবো কেন।(জুহি)
=একটা কাজ আছে আমার এখন(আমি)
=কি কাজ শুনি।(জুহি)
=আপনাকে বলা যাবেনা।(আমি)
=বুঝেছি।আপনার প্রেমিকার সাথে কথা বলবেনক(জুহি)
=আমার কোনো প্রেমিকা নেই।বাই পরে কথা হবে(আমি)
তারপর ফোন কেঁটে দিলাম।তারপর অনেক বার ফোন করল ধরিনি।
=কে ফোন করছিলো দোস (জয়)
=জুহি(আমি)
=ওহ....চল এখন(জয়)
=হুম চল।(আমি)
তারপর সেই ছেলের বাড়ি সামনে গেলাম।আমরা সবাই মুখশ পড়া ছিলাম।তারপর গেইটের সামনে গেলাম।গেইট খোলার জন্য গেইটে নক করলাম।গেইটের দারোয়ান গেইট খুলে ভয় পেয়ে গেলো।
=আপনার কোনো ভয় নেই আপনাকে আমরা কোনো ক্ষতি করবো না(আমি)
=কিন্তু আপনারা কারা(দারোয়ান ভয়তে ভয়তে জিজ্ঞাস করল।)
=আজকে নিশ্চই শুনছেন একটা মেয়ে রেপ হইছে?(আমি)
=হুম শুনছি।রেপ করছে এই বাড়ির পোলা।পোলাটা খুব খারাপ। পোলাটার নাম রবিন।(দারোয়ান)
=ওই রবিন কে মারতে আইছি(আমি)
=তোমাদের লাইগা আমার দোয়া রইল বাবা।ওর বিচার হওয়া দরকার।(এই বলে বৃদ্ধ লোকটি কান্না করতে লাগলো।)
দারোয়ানটি বৃদ্ধ ছিল।
=আপনার কোনো ভয় নাই আপনি নিশ্চিন্তায় থাকেন।(জয়)
=যাও বাবারা ওই যে উপরের ঘর দেখতে পাচ্ছো ওইটা রবিনের ঘর।(দারোয়ান)
=আচ্ছা আমরা যাই তাহলে(জয়)
তারপর আমি এবং জয় উপরে গেলাম।এবং বাকিদের কে বাড়ির চার পাশে পাহাড়া দিতে বললাম।রবিনের রুমে গিয়ে দেখি রবিন জেগে আছে।
=কে আপনারা(রবিন)
=আমরা তোর জম।কি ভাবিস তোরা নিজেকে?টাকা আর ক্ষমতা আছে বলে তোদের কেউ কিছু বলবেনা?আজ যেই মেয়েটা কে তুই রেপ করছিস সে তোর কি ক্ষতি করছিলো হ্যা.?(আমি)
=আমাকে মাফ করে দেন প্লিজ।আমি আর জীবনে কোনো মেয়ের দিকে তাকাবো না।(রবিন)
=তুই পারবি সেই মেয়ের জীবন ফিরিয়ে দিতে?(আমি)
তারপর আমি এবং জয় মিলে রবিনকে মেরে রবিনের বাসার পিছনে একটা ঝোপের মধ্যে মাটি খুরে তাকে দাফন করলাম।একটা মুসলমানকে যে ভাবে দাফন করা হয় সেই ভাবেই দাফন করা হলো।তারপর যার যার মতো নিজেদের বাড়ি গেলাম।চলবে.....কেমন হলো যানাবেন প্লিজ।

No comments

Powered by Blogger.