কাজল_কালো_আখি
কাজল_কালো_আখি
রিক্সাওয়ালা মামাকে রিক্সা থামাতে বলে আমি তড়িঘড়ি করে নামলাম।
একদৌরে পার্কে ঢুকলাম।কোনরকম লাফিয়ে মেয়েটির সামনে এসে দাঁড়ালাম। "আরে আপনি! কেমন আছেন? এভাবে হাপাচ্ছেন কেন?"
"আপনাকে দেখে দৌড়ে এলাম তো তাই আরকি,কেমন আছেন?"
"কেনো?"
"সেদিনতো ঠিকমত আপনাকে ধন্যবাদ দিতে পারিনি,আজকে আপনাকে দেখতে পেলাম তাই ভাবলাম ভালোভাবে ধন্যবাদটা দিয়ে আসি"
"ও আচ্ছা,কিন্তু আমি তো এভাবে ধন্যবাদ গ্রহন করব না"
"আমি জানি,এবং আমি প্রমিজ করছি যে আমি নিয়মিত রক্ত দিব"
"হুম"
"আমরা কি একসাথে বসে চা খেতে পারি?"
"না"
"কেন?"
"কারন আমরা একসাথে বসে বাদাম খেতে পারি"
আমি হেসে বললাম"চলুন তাহলে বাদাম খেয়ে আসি"
বাদাম খেতে খেতে"আপনার নাম কি?"
"ফাল্গুনি"
"বাহ, অনেক সুন্দর নাম"
আর কি বলব বুঝতে পারছিলাম না।অনেক কিছু বলার ছিল,জিজ্ঞেস করার ছিল কিন্তু কিছুই বলতে পারছিলাম না।সব কথা আটকে যাচ্ছিল। "পার্কটা অনেক সুন্দর তাই না"আমি
"হুম,"
"আমার নাম জিজ্ঞেস করবেন না?"
"আপনার নাম আমি জানি,আফনান সাহেব"
আমি অবাক হয়ে বললাম,"কিভাবে জানলেন!"
"সেদিন আপনার মায়ের কাছে শুনেছিলাম"
"ও আচ্ছা,"
এভাবেই কথা হতো প্রতিদিন। সেদিন ওর ফোন নাম্বার নিয়েছিলাম। ফোনে কথা হত, আমরা অনেক ভালো বন্ধু হই। এভাবে একমাস চলে যায়।আমি ওর প্রতি পুরোপুরি দুর্বল হয়ে পরি। তার ঐ দুচোখে গেথে যায় আমার মন। বাধা পরে যাই আমি তার কাছে,তার চোখের ভাষায়, কাজলে।
তাকে নিয়ে আমার কল্পনার পৃথিবি সাজাতে শুরু করি। নিজেকে তার মতো করে গোছাতে শুরু করি। তাকে নিয়ে সবসময় ভাবনার রাজ্যে হারিয়ে থাকতাম। একবার তো তার কথা ভাবতে ভাবতে ম্যানহোলে পরে গিয়েছিলাম। ছিঃ কি বিশ্রি অবস্থাটাই না হয়েছিলো।
তার সাথে আমার প্রায়ই দেখা হত পার্কে। একসাথে বসে বাদাম খেতাম গল্প করতাম।
তারপর একদিন,,,,,,,,,,,
(আজ যেভাবেই হোক তাকে প্রোপজ করবই,আমি মনে মনে ভাবছিলাম)
হাতে একগুচ্ছ সাদা গোলাপ নিয়ে পার্কে তার জন্য অপেক্ষা করছি। আয়নার সামনে অনেকবার প্রাকটিস করেছি,আজ যেভাবেই হোক তাকে আমার মনের কথা জানাবই।মুখে যতই সাহসের কথা বলি না কেন মনে মনে আমি ততটাই নার্ভাস। ফাল্গুনির সামনে আমার মনের কথাগুলো বলতে পারব তো।
আমি এসব ভাবতে ভাবতেই ফাল্গুনি চলে আসলো।
"কি হলো আপনার মুখটা এমন শুকনো লাগছে কেন?"ফাল্গুনি
আমি আমতা আমতা করতে বললাম, "কই না না নাতো"
"তাহলে আপনি ঘামছেন কেন,আর তোতলাচ্ছেনইবা কেন"
আমি কথা বলতে চাচ্ছি কিন্তু মুখ দিয়ে কথা বেরুচ্ছে না, মনে হচ্ছে কে যেন গলায় কথা আটকে যাচ্ছে।আমি কিছু না বলেই ওর সামনে ফুলগুলো ধরলাম।
ও আমার হাতে ফুল গুলো দেখে অবাক হওয়ার বদলে রেগে আমার দিকে চেয়ে আছে।ব্যাপার কি ও এমন রেগে গেলো কেন।আমিতো রেগে যাওয়ার মত কিছু করি নি।এখনো তো প্রপোজও করি নি। তাহলে কেন রেগে আছে।
"আপনি কি গাছের ফুল ছিরেছেন?"
"না কিনেছি,আপনার জন্য"
"কি(রেগে গিয়ে)আপনি আমার জন্য ফুল কিনেছেন,আপনি জানেন গাছ থেকে ফুল ছিড়লে গাছ কত কস্ট পায়।আপনার হাত যদি এখন কেটে ফেলা হয় আপনাকে যতটা কস্ট লাগবে ঠিক ততোটাই কস্ট পা গাছ।গাছেরো জীবন আছে,প্রান আছে।"
ফাল্গুনি এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বললো
"কিন্তু আমিতো ফুলগুলো ছিড়ি নি, কিনেছি"
"আপনার মত লোকগুলো ফুল কিনে বলেই তো, মালিরা ফুল ছিঁড়ে। "
এই রে,কোথায় আমি আসলাম প্রপোজ করতে। আমার আজ আর প্রপোজ করা হলো না।সেদিনের মতো শুন্য ও হতাশা ভরা মন নিয়ে বাসায় ফিরলাম।
পরেরদিন আবার গেলাম,,,,,
আজকে প্রপোজ করবই,যেভাবেই হোক। আজ আর ফুল আনিনি, আজ এনেছি বাদাম।বাদাম দিয়েই প্রপোজ করব।
পার্কের একটা বেঞ্চে বসে আছি।এখন শুধু ফাল্গুনী আসার অপেক্ষা।
ফাল্গুনি আসার সাথে সাথে কোনরকম ভুমিকা ছারাই হাটু গেরে বসে বললাম,
"ফাল্গুনী, তুমি কি সারাজিবনের জন্য আমার বাদাম খাওয়ার সঙী হবে"
,,,,,,,,,,,,,,,,
( চলবে )
একদৌরে পার্কে ঢুকলাম।কোনরকম লাফিয়ে মেয়েটির সামনে এসে দাঁড়ালাম। "আরে আপনি! কেমন আছেন? এভাবে হাপাচ্ছেন কেন?"
"আপনাকে দেখে দৌড়ে এলাম তো তাই আরকি,কেমন আছেন?"
"কেনো?"
"সেদিনতো ঠিকমত আপনাকে ধন্যবাদ দিতে পারিনি,আজকে আপনাকে দেখতে পেলাম তাই ভাবলাম ভালোভাবে ধন্যবাদটা দিয়ে আসি"
"ও আচ্ছা,কিন্তু আমি তো এভাবে ধন্যবাদ গ্রহন করব না"
"আমি জানি,এবং আমি প্রমিজ করছি যে আমি নিয়মিত রক্ত দিব"
"হুম"
"আমরা কি একসাথে বসে চা খেতে পারি?"
"না"
"কেন?"
"কারন আমরা একসাথে বসে বাদাম খেতে পারি"
আমি হেসে বললাম"চলুন তাহলে বাদাম খেয়ে আসি"
বাদাম খেতে খেতে"আপনার নাম কি?"
"ফাল্গুনি"
"বাহ, অনেক সুন্দর নাম"
আর কি বলব বুঝতে পারছিলাম না।অনেক কিছু বলার ছিল,জিজ্ঞেস করার ছিল কিন্তু কিছুই বলতে পারছিলাম না।সব কথা আটকে যাচ্ছিল। "পার্কটা অনেক সুন্দর তাই না"আমি
"হুম,"
"আমার নাম জিজ্ঞেস করবেন না?"
"আপনার নাম আমি জানি,আফনান সাহেব"
আমি অবাক হয়ে বললাম,"কিভাবে জানলেন!"
"সেদিন আপনার মায়ের কাছে শুনেছিলাম"
"ও আচ্ছা,"
এভাবেই কথা হতো প্রতিদিন। সেদিন ওর ফোন নাম্বার নিয়েছিলাম। ফোনে কথা হত, আমরা অনেক ভালো বন্ধু হই। এভাবে একমাস চলে যায়।আমি ওর প্রতি পুরোপুরি দুর্বল হয়ে পরি। তার ঐ দুচোখে গেথে যায় আমার মন। বাধা পরে যাই আমি তার কাছে,তার চোখের ভাষায়, কাজলে।
তাকে নিয়ে আমার কল্পনার পৃথিবি সাজাতে শুরু করি। নিজেকে তার মতো করে গোছাতে শুরু করি। তাকে নিয়ে সবসময় ভাবনার রাজ্যে হারিয়ে থাকতাম। একবার তো তার কথা ভাবতে ভাবতে ম্যানহোলে পরে গিয়েছিলাম। ছিঃ কি বিশ্রি অবস্থাটাই না হয়েছিলো।
তার সাথে আমার প্রায়ই দেখা হত পার্কে। একসাথে বসে বাদাম খেতাম গল্প করতাম।
তারপর একদিন,,,,,,,,,,,
(আজ যেভাবেই হোক তাকে প্রোপজ করবই,আমি মনে মনে ভাবছিলাম)
হাতে একগুচ্ছ সাদা গোলাপ নিয়ে পার্কে তার জন্য অপেক্ষা করছি। আয়নার সামনে অনেকবার প্রাকটিস করেছি,আজ যেভাবেই হোক তাকে আমার মনের কথা জানাবই।মুখে যতই সাহসের কথা বলি না কেন মনে মনে আমি ততটাই নার্ভাস। ফাল্গুনির সামনে আমার মনের কথাগুলো বলতে পারব তো।
আমি এসব ভাবতে ভাবতেই ফাল্গুনি চলে আসলো।
"কি হলো আপনার মুখটা এমন শুকনো লাগছে কেন?"ফাল্গুনি
আমি আমতা আমতা করতে বললাম, "কই না না নাতো"
"তাহলে আপনি ঘামছেন কেন,আর তোতলাচ্ছেনইবা কেন"
আমি কথা বলতে চাচ্ছি কিন্তু মুখ দিয়ে কথা বেরুচ্ছে না, মনে হচ্ছে কে যেন গলায় কথা আটকে যাচ্ছে।আমি কিছু না বলেই ওর সামনে ফুলগুলো ধরলাম।
ও আমার হাতে ফুল গুলো দেখে অবাক হওয়ার বদলে রেগে আমার দিকে চেয়ে আছে।ব্যাপার কি ও এমন রেগে গেলো কেন।আমিতো রেগে যাওয়ার মত কিছু করি নি।এখনো তো প্রপোজও করি নি। তাহলে কেন রেগে আছে।
"আপনি কি গাছের ফুল ছিরেছেন?"
"না কিনেছি,আপনার জন্য"
"কি(রেগে গিয়ে)আপনি আমার জন্য ফুল কিনেছেন,আপনি জানেন গাছ থেকে ফুল ছিড়লে গাছ কত কস্ট পায়।আপনার হাত যদি এখন কেটে ফেলা হয় আপনাকে যতটা কস্ট লাগবে ঠিক ততোটাই কস্ট পা গাছ।গাছেরো জীবন আছে,প্রান আছে।"
ফাল্গুনি এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বললো
"কিন্তু আমিতো ফুলগুলো ছিড়ি নি, কিনেছি"
"আপনার মত লোকগুলো ফুল কিনে বলেই তো, মালিরা ফুল ছিঁড়ে। "
এই রে,কোথায় আমি আসলাম প্রপোজ করতে। আমার আজ আর প্রপোজ করা হলো না।সেদিনের মতো শুন্য ও হতাশা ভরা মন নিয়ে বাসায় ফিরলাম।
পরেরদিন আবার গেলাম,,,,,
আজকে প্রপোজ করবই,যেভাবেই হোক। আজ আর ফুল আনিনি, আজ এনেছি বাদাম।বাদাম দিয়েই প্রপোজ করব।
পার্কের একটা বেঞ্চে বসে আছি।এখন শুধু ফাল্গুনী আসার অপেক্ষা।
ফাল্গুনি আসার সাথে সাথে কোনরকম ভুমিকা ছারাই হাটু গেরে বসে বললাম,
"ফাল্গুনী, তুমি কি সারাজিবনের জন্য আমার বাদাম খাওয়ার সঙী হবে"
,,,,,,,,,,,,,,,,
( চলবে )
লেখাঃ #Eshita_Manha
No comments