অজানা ভালোবাসা

অজানা ভালোবাসা
পর্ব ৫ বা শেষ পর্ব
লেখকঃমুরাদ( #পাগলির_পাগলা)
তারপর নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললাম--- তুমি আমাদের বাড়ি কেন আইছো?(আমি)
=বাবা কিছু দিনের জন্য ব্যবসার কাজে বাইরে গেছেন।(জুহি)
=হুম বুঝলাম।(আমি)
=চলো এখন নিচে যেতে হবে(জুহি)
=হুম চলো (আমি)
তারপর নিচে গিয়ে রাতের খাবার খেলাম।খেয়ে তারপর নিজের রুমে গেলাম।মোবাইল টা হাতে করে ফেচবুকে ঢুকলাম।এরি মধ্যে জুহি এসে রুমের দরজা আটকে দিলো।
=এতো রাতে তুমি এখানে!!!!(আমি)
=হুম আমি(জুহি)
আমি--বাড়ির সবাই যানতে পারলে কি হবে বুঝতে পারতেছো।
জুহি--বাড়ির সবাই যানলে কি হবে কিছুই হবে।
আমি--প্লিজ এখান থেকে এখন যাও প্লিজ
জুহি---যাবো তার আগে আমার পাওনাটা দাও তারপর যাবো।
আমি---কিসের পাওনা?
জুহির তারপর আমার গায়ের উপর শুয়ে আমার ঠোটের সাথে তার ঠোট দুটো মিশিয়ে দিলো।
যানিনা কতক্ষন ছিলাম ওই ভাবে।তারপর জুহি আমাকে ছাড়িয়ে দিলো এক দোড়।
রাতে ঘুমিয়ে পড়লাম।সকালে কে যে আমাকে ডাকছে।
জুহি----এই এখনো ঘুমাচ্ছো।
আমি---হুম তুমি যাও আমি উঠছি।
জুহি----না এখনি উঠতে হবে।
তারপর আর কি উঠতেই হলো।তারপর সকালের খাবার খেয়ে কলেজ যাবার জন্য রেডি হলাম।বাইকে উঠতেই জুহি এসে বাইকের পিছনে বসলো।
আমি---তুমি বাইকে উঠলে কেন।
জুহি---কলেজ যাবো বলে।
আমি---ভাবি দেখলে কি বলবে।
এই কথা বলতেই জুহি ভাবিকে ডাক দিলো।
জুহি---দেখনা আপু আমি কলেজ যাবো বলে বাইকে উঠছি আমাকে বাইকে করে নেবে না বলছে।
ভাবি---কিরে তুইতো কলেজেই যাচ্ছিস তাহলে জুহিকে কেন নিবিনা?
আমি---আচ্ছা নিচ্ছি যাও তুমি।
তারপর বাইক চালাতে শুরু করলাম।
আমি---এই ভাবে জড়িয়ে ধরলে মানুষ কি বলবে।
জুহি---বলুক।কে কি বলল, না বলল আমার তাতে কিছু আসে যায় না।
আমি---আমার খুব গরম লাগছে আমার হেলমেট খুলে নাওতো।
জুহি তারপর আমার হেলমেট খুলে হাতে নিলো।
আমি---হাতে নিছো কেন মাথায় পড়ো।
জুহি---আমি পারবো না।
আমি---প্লিজ পড়ে নাও
জুহি---আচ্ছা নিচ্ছি।
আমি---এইবার আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরো।
তারপর কিছু দূর যেতেই আমাদের বাইকটা একটা টিরাকের সাথে ধাক্কা লাগে।তারপর আমার আর কোনো কিছু মনে নেই।
জ্ঞান ফিরার পর দেখলাম আমি হাসপাতালে।আমার যখন জ্ঞান ফেরে তখন রাত ছিলো। তখন রাত ১ টা বাজে।আমার পাশেই একটা চেয়ারে জুহি ঘুমিয়ে ছিলো।আমার জ্ঞান ফেরার পর এক গ্লাস পানি খাবার জন্য উঠলাম।তখনি আওয়াজ পেয়ে জুহি ঘুম থেকে উঠে পড়লো।
জুহি----একি করছ তুমি।r
আমি---কই কিছুনা।পানি খাইতে উঠছিলাম।
জুহি---আমাকে ডাক দিতে পারতে।আমাকে ডাক দিলা না কেন?
আমি---দেখলাম তুমি ঘুমিয়ে আছো তাই আর বিরক্ত করলাম না।
জুহি---কে বলছে আমি বিরক্ত হবো।তুমি থাকো আমি পানি আর ডাক্তার কে ডেকে নিয়ে আসি।
তারপর জুহি পানি এবং ডাক্তার কে নিয়ে এলো।
জুহি--এই নাও পানি খাও।
তারপর পানি খেলাম।
ডাক্তার--ওনি এখম সম্পুর্ন সুস্থ।ওনাকে চাইলে কালকেই বাসায় নিয়ে যেতে পারেন।
জুহি---আচ্ছা ঠিক আছে।
ডাক্তার---এই মেয়েটি না থাকলে আপনাকে বাঁচানোর যেতো না।আপনি গত এক সপ্তাহ অজ্ঞান ছিলেন।এক সপ্তাহ এই মেয়ে আপনাকে যত্ন করেছে।
তারপর ডাক্তার চলে গেলো।
আমি---এতো ভালোবাসো আমাকে।
জুহি--তুমিও আমাকে কম ভালোবাসো না।তাহলে বাইক ব্রেকফেলর করছিলো আমাকে হেলমেট পড়িয়ে বাঁচিয়ে দিয়ে নিজে চলে যেতে চেয়ে ছিলে কেন?
আমাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে থাকে জুহি।
তারপর আমাকে সকালে বাড়িয়ে নিয়ে আসা হলো।
ভাবি--জুহি তোকে অনেক ভালোবাসে ওকে কষ্ট দিস না ভাই
আমি--আচ্ছা ভাবি।
তারপর নিজের রুমে গেলাম।গিয়ে একটু শুয়ে পড়লাম।
তারপর দুপুর বেলা উঠে গোসল করে খাবার খেলাম।
জুহি--চলো একটু ছাদে গিয়ে ঘুরে আসি।
আমি---আচ্ছা চলো।
তারপর ছাদে গেলাম।ছাদে কিছুক্ষন দুইজনে গল্প করে রুমে আসলাম।
হঠাৎ জয়ের ফোন।
জয়---কিরে এখন কেমন আছিস।
আমি---ভালো।তুই?
জয়---ভালো।কি করিস।
আমি--এইতো জুহির সাথে গল্প করছি।তুই?
জয়---কিছু না।পরে কথা হবে বাই।
আমি---ওকে বাই।
তারপর ফোন কেটে দিলো।
ভাইয়া---তোর সাথে কিছু কথা ছিলো।
আমি---বল
ভাইয়া---আমি যানি তুই জুহিকে ভালোবাসিস এবং জুহিও তোকে ভালোবাসে। আমরা তাই তোদের বিয়ে দিতে চাই।
আমি----ভাই কিন্তু এখন আমি কেবল অনার্স ১ম বর্ষে পড়ছি।
ভাইয়া ---সমস্যা নাই তোদের বিয়ে ২ মাস পরে।
আমি আর ভাইয়ার কথায় না বলতে পারলাম না।
----------------------সমাপ্ত---------------------
গল্পটি কেমন হলো যানাবেন প্লিজ।
আমি ব্যস্ত থাকার কারনে গল্পটা সবটুকু লিখতে পারলাম না।আমি
এই গল্পটি আবার অজনা ভালোবাসা ২ বলে লিখব।

No comments

Powered by Blogger.